এম আলমগীর : প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, মামলার জট নিরসনে একশ দুই জন বিচারকের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে চলেছে। এ বছরের শেষদিকে আরও একশজন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হবে। বিচারকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই মামলার জটগুলো দ্রুত নিরসন হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিতব্য বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন পরবর্তী এক আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা উদ্যোগ নিয়েছি পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় নিষ্পত্তিকৃত মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় সুনির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এখান থেকেই সাংবাদিকরা সব তথ্য পাবেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি জেলায় ন্যায়কুঞ্জ নামে নির্মিতব্য বিশ্রামাগারের মাধ্যমে বিচারপ্রার্থীরা স্বস্তি পাবেন।
এ সময় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মির্জা হোসাইন হায়দার, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার জনাব মুন্সি মো. মশিউর রহমান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ২ এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম (জেলা জজ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম (জেলা ভাজা) চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ পারভেজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. সুলতান মাহমুদ, গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মোবারক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এরপর দুপুর তিনটায় জামালপুর জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে আইন পেশায় ৫০বছর উর্ধ্ব ৪জন বিজ্ঞ আইনজীবীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিচারপতি।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আইনজীবী আমানউল্লাহ আকাশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী ইসমত পাশার সঞ্চালনায় চার আইনজীবীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে আইনজীবী নওয়াব আলী, আইনজীবী আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, আইনজীবী এইচ আর জাহিদ আনোয়ার ও আইনজীবী খলিলুর রহমানকে সংবর্ধনা দেওয়া করা হয়।
প্রধান বিচারপতি জামালপুর আদালত প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণসহ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিচারক ও আইনজীবীদের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে মামলা জট কমানোর জন্য বার এবং বেঞ্চের সকলকে আরও সচেতন ও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা নির্দেশ প্রদানের পাশাপাশি জামালপুর বিচার বিভাগে জেলা জজ আদালতের মামলা নিষ্পত্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি।
Leave a Reply