জামালপুর প্রতিনিধি:
কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নেই। অফিসও তালাবদ্ধ। চাবি না পেয়ে চেয়ার-টেবিল নিয়ে বারান্দায় বসেই প্রথম দিনের অফিস করলেন ইসলামপুর সরকারি কলেজের নবাগত অধ্যক্ষ ড. ছদরুদ্দীন আহমদ। তবে তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন কলেজের সকল শিক্ষক-কর্মচারী। সরকারি কলেজের নবাগত অধ্যক্ষের বারান্দায় বসে দাপ্তরিক কাজ করার ঘটনায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।
গত ৬ জুন এক প্রজ্ঞাপনে টাঙ্গাইল সরকারি মুজিব কলেজের অধ্যক্ষ ড. ছদরুদ্দীন আহমদকে ইসলামপুর সরকারি কলেজে সংযুক্ত করা হয়। ড. ছদরুদ্দীন আহমদ বলেন, অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর গত ৭ জুন অনলাইনে যোগদান করেন তিনি। ৮ জুন যথাসময়ে ইসলামপুর কলেজে আসেন। সেদিন ফুল দিয়ে তাঁকে বরণ করেন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা। কিন্তু গতকাল রোববার কলেজে এসে দেখেন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের কক্ষে তালা। অফিস সহায়ক, দারোয়ানসহ কারও কাছে নেই অফিসের চাবি। এ অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরে বাধ্য হয়ে কলেজের বারান্দায় বসে দিনভর দাপ্তরিক কাজ করতে হয়েছে।
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহামেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, অধ্যক্ষ হিসেবে ড. ছদরুদ্দীন আহমদ নিয়োগ পাওয়ার কথা শুনেছেন তিনি। তবে এখনও অফিসিয়াল কোনো চিঠি পাননি। কলেজের জরুরি কাজে মন্ত্রণালয়ে রয়েছেন তিনি। অফিস কক্ষ বন্ধ থাকার বিষয়ে ফরিদ উদ্দিন আহামেদ বলেন, শিক্ষক-কর্মচারী আত্মীকরণ বিধিমালা-২০১৮ এর ১৩/১ ধারায় বলা আছে সরকারি করা কলেজে শিক্ষক-কর্মচারী সরকারিভাবে নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত যাঁরা দায়িত্বে আছেন তাঁরাই দায়িত্ব পালন করবেন। নীতিমালা অনুযায়ী ইসলামপুর কলেজে এখনও অধ্যক্ষের পদ শূন্য হয়নি। তা ছাড়া তাঁর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সময়সীমা এখনও শেষ হয়নি।
১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠা হয় ইসলামপুর কলেজ। ২০১৮ সালে সরকারিকরণ করা হয় কলেজটি। সৃত্র সমকাল
Leave a Reply