জামালপুর পৌরসভার পাঁচরাস্তা এলাকায় পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে ২৫ বছর ভোগদখলে থাকা ১৬ শতাংশ জমি জোরপূর্বক বেদখলের অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে জমিতে থাকা বেশকিছু ঘর ভাড়া দেওয়া থাকলেও বেআইনি জনতাবদ্ধে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভাড়াটিয়াদের তাড়িয়ে সেই জমি প্রতিপক্ষরা বেদখল করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জমি বেদখলের এমন অভিযোগটি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের মেলান্দহ উপজেলার মহিরামকুল গ্রামের মৃত আনিছুজ্জামান আক্তারের ছেলে হাবিব জাহান রাসেল (৩৬)। তিনি পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পাঁচরাস্তায় বসবাস করছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- পৌরসভার নয়াপাড়া পাঁচরাস্তা এলাকার মৃত শামছুল আলম ফটিকের ছেলে মো. রতন মিয়া (৩৭), মো. ময়নাল মিয়া (৪২), মো. মাসুদ মিয়া (৪৬), একই এলাকার মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. মতিন মিয়া (৪৮), মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো. রাশেদ মিয়া (৩৫), মো. মুন্না মিয়া (২৪), মৃত সমুর ছেলে মো. সাব্বির (২৬), সর্দারপাড়ার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো. আনিছ মিয়া (৪৮)সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সিংহজানী মৌজার মধ্যে বিআরএস খতিয়ান নম্বর ২৪০৬, বিআরএস দাগ নম্বর ৬৪০০, জমির পরিমাণ ৬০ শতাংশের কাতে ১৬ শতাংশ জমি আমরা পৈতৃক সূত্রে পাই। সেই জমিতে আমরা বাসাবাড়ি ও দোকানপাট তুলে ভাড়া দিয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ভোগদখলে আছি। অভিযুক্ত প্রতিপক্ষরা সেই জমি বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই বেদখলের পাঁয়তারা করে আসছিলেন। একপর্যায়ে চলতি বছরের ২০ মে সকাল ১১টার দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেই জমি বেদখল করেন অভিযুক্তরা। নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁরা ভাড়াটিয়াদের তাড়িয়ে দেন।
তিনি আরও জানান, এ জমি নিয়ে ঝামেলা করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। বর্তমানে মামলাটি বিজ্ঞ হাইকোর্টে সিভিল রিভিশনে বিচারাধীন আছে। যার নম্বার ২৩০৩/২০২০। বিজ্ঞ হাইকোর্ট অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন। আদালতের আদেশ অমান্য করে তাঁরা ওই জমি বেদখল করেছেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন আমি জমি বেদখলে বাধা দিলে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেধড়ক মারধর করেন অভিযুক্তরা। একই সঙ্গে প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ পঁচিশ হাজার টাকা তাঁরা ছিনিয়ে নেন। একপর্যায়ে অভিযুক্তরা আমার বসত ঘরের টিনের দরজা জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করেন।
তিনি এ ঘটনার আইনগত সহায়তা ও জমি পুনরুদ্ধারে প্রশাসনসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রতিপক্ষরা জানান, ওই জমির প্রকৃত মালিক আমরা। তাই জমিসহ বাসাবাড়ী ও দোকানপাট আমরা দখলে নিয়েছি।
Leave a Reply