মোঃ রুহুল আমিন রাজু জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের মেলান্দহে আন্তঃস্কুল ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের হামলা ও দু’পক্ষের সংঘর্ষে মধ্যে সংঘর্ষের ঘটেছে। এতে ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়।
এ ঘটনার বিচার দাবিতে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে মালঞ্চ এম এ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১ঘণ্টা ব্যাপি সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও বিক্ষোভ করে।
এতে জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ মহাসড়কে তিন কিলোমিটার তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরে ইউএনও এবং ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এম এ গফুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন জানান, গতকাল সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার উমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আন্তঃস্কুল ফুটবল টুনার্মেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় এম এ গফুর উচ্চ বিদ্যালয় বনাম সাধুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল টিম অংশগ্রহণ করে। নির্ধারিত সময়ে দু’দলের মধ্যে গোলশূন্য ড্র হয়। খেলায় ট্রাইবেকারের সময় সাধুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবলার শট দিলে এম এ গফুর উচ্চ বিদ্যালয়ের গোলকিপারের হাত থেকে বল ফসকে দর্শকের গায়ে লাগে। এ নিয়ে একদল উত্তেজিত দর্শক এম এ গফুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল টিম ও দর্শকের উপর হামলা চালায়।
এতে অন্তত ১৬ জন আহত হয়। গুরুতর আহত এম এ গফুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলামকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল এবং জাকির হোসেন ও রোকন হাসানকে মেলান্দহ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান।
এদিকে গতকালের সূত্র ধরে ঘটনার বিচার দাবিতে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় এম এ গফুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তায় নামে। এসময় তারা জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন, অগ্নিসংযোগ ও বিক্ষোভ করতে থাকেন।
এসময় মহাসড়কের দ’পাশে যানবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিঞা ও থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে বিচারের আশ্বাস দিলে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীরা দুপুর থেকে অবরোধ তুলে নেয়।
এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন জানান, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে। ইউএনও স্যার এবং আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে।
বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম মিঞা ঘটনার সততা স্বীকার করেন।
Leave a Reply