জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুরের চরাঞ্চলের বালুচরের পতিত জমিতে বিভিন্ন জাতের অর্থকরী ফসল চাষ করেছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতা পতিত জমি ফেলে না রেখে কৃষকরা ফসল উৎপাদন করে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় মহা খুশি।
সরিষাবাড়ি উপজেলার চরাঞ্চলের শত শত একর জমি পতিত পড়ে থাকতো। এখন কৃষকরা পলিমিশ্রিত মাটির এসব জমিগুলো পতিত না রেখে বিভিন্ন জাতের অর্থকরী ফসল চাষ করেছেন। উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কুলপাল, আওনা, ঘুইঞ্চা, ’লচরা, কুমারপাড়া, বাড়ইকান্দি গ্রামগুলো খরস্রোতা যমুনা নদীর অববাহিকায় পলিমিশ্রিত মাটিতে চাষ হয়েছে ভুট্টা, খেসারি কলাই, মাসকলাই, তিশি, ধনিয়া শস, বাদাম, মসুর ডালসহ বিভিন্ন জাতের অর্থকরী ফসল।
কুলপাল চরের কৃষক আব্দুল বারিক বলেন, এখন শীতের কারণে বাদামের গাছ তেমন বাড়ছে না। শীত শেষে পুরো ক্ষেত ছেয়ে যাবে বাদামের গাছে। গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন ও তথ্যপ্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন জাতের ফসল উৎপাদন করে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে এখানকার কৃষকরা।
কৃষক জামাল উদ্দিনসহ অনেকেই জানান, এক সময় এই চরের জমিতে তেমন ফসল হতো না। এখন ব্যাপক ফসল হয়েছে। সবাই এখন জমি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছে।
ইলিয়াস সরকার গত বছর ১২ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভালো দাম পেয়েছিলেন। এ বছর তিনি ১৫ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। তিনি জানান, গত বছর ১ হাজার ৩২০ টাকা দরে ভুট্টা বিক্রি করেছিলেন। প্রতি বিঘাতে তার খরচ হয়েছিলো ১১ হাজার টাকা। প্রতি বিঘাতে ভুট্টা হয় গড়ে ৪০ মণ। যা অন্য কোনো ফসল চাষ করে এতো লাভ করা সম্ভব নয়। তাই তিনি এ বছর আরো বেশি করে জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেছেন।
জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানা জানান, চরাঞ্চলে এখন আধুনিক প্রযুক্তিতে চাষাবাদ হয়েছে। কৃষক এখন বেশ লাভবান হয়েছে । কৃষি বিভাগ তাদের সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। ফলে এখন আর আগের মতো কোনো জমি পতিত পড়ে থাকছে না। তাছাড়া প্রত্যেক উপজেলাতে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দেয়া হয়েছে । ফলে কৃষক লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে লাভবান হয়েছে।
Leave a Reply