কাফি পারভেজ, জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশনের প্ল্যাটফরমের ওপর টিনের ছাপরা ঘরে রেলস্টেশনের যাবতীয় কার্যক্রম চলছে দীর্ঘদিন ধরে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও নতুন ভবন নির্মাণের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করায় যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছে। অফিশিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা করতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন স্টেশনের স্টাফরা।
রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে নতুন স্টেশন নির্মাণের জন্য কার্যাদেশ পাওয়ার পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমলে নির্মিত দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশনের পুরনো ভবন ভেঙে ফেলেন। পরবর্তী সময়ে স্টেশনটির নতুন নকশা তৈরির কারণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তার কার্যত্রম বন্ধ করে দেন। তখন থেকেই অস্থায়ীভাবে অফিশিয়াল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্ল্যাটফরমের ওপর ২০ বছর আগের অব্যবহিত পুরনো টিন আর দরজা জানালা দিয়ে এক চালা ছাপরা ঘর নির্মাণ করা হয়।
দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও নতুন প্ল্যাটফরম নির্মাণের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করায় যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছে। এক চালা ছাপরা ঘরে স্টেশনের অফিশিয়াল কার্যক্রম চলে আসছে। স্টেশন পরিচালনার জন্য এখানে নিজস্ব কোনো কক্ষ নেই। এক চালা টিনের ছাপরার ভেতর চলছে স্টেশনের যাবতীয় কার্যক্রম। এতে স্টেশনের কার্যক্রম পরিচালনায় নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন স্টাফরা।
ইয়ার্ড মাস্টার আব্দুল মান্নান বলেন, প্রতিটি স্টেশনে ইয়ার্ড মাস্টার, স্টেশন মাস্টার, সহকারী স্টেশন মাস্টারের জন্য রুম বরাদ্দ থাকে। স্টেশন ভেঙে ফেলার পর এখানে কিছুই নেই। যাত্রীদের জন্য টয়লেট নেই, বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে। রেলস্টেশন ভেঙে ফেলায় স্টেশন মাস্টারের গুরুত্বপূর্ণ অফিসিয়াল রেকর্ডপত্র, ফাইল, স্টেশনের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি, সিগন্যালের রেড টেলিফোন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। রেলের টিকিট এবং টিকিট বিক্রির টাকা চুরি ডাকাতি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখানে বিশুদ্ধ পানি পান করার সুযোগ নেই। টয়লেট ব্যবহার করার মতো কোনো ব্যবস্থা নেই।
স্টেশন মাস্টার মো. আব্দুল বাতেন বলেন, রেলের গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র এভাবে রাখা নিরাপদ নয়। আমাদের বসার কোনো জায়গা নেই। ভবনটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান জানান, স্টেশনটির নতুন নকশা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
Leave a Reply