কাফি পারভেজ, জামালপুর প্রতিনিধি :
বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রথম ধাপে জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ কম দেখা গেছে। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম ছিল। ভোট গণনা শেষে বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ। ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) নির্বাচিত হয়েছেন আখতারুজ্জামান এবং ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) নির্বাচিত হয়েছেন নাজনীন আক্তার।
বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকালে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও পরে কিছুটা বাড়ে। ভোটগ্রহণের ২ঘন্টা সময় অতিবাহিত হলেও অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম ছিল। হাতেগোনা কিছু ভোটার থাকলেও তারা ছিল বিভিন্ন প্রার্থীর কর্মীসমর্থক। সবমিলিয়ে হতাশাজনক পরিস্থিতিতে চলে ভোটকার্যক্রম। এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নেওয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে সংঘর্ষ ও কিছু অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগসহ এক পোলিং কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
ভোট গণনা শেষে রাতে বেসরকারি ফলাফলে মোটরসাইকেল প্রতীকে ৬৪ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হাফিজুর রহমান স্বপন (কাপ পিরিচ) প্রতীক পেয়েছেন ৬১ হাজার ৪১৯ ভোট।
পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ৫৩ হাজার ৬শ ৫২ ভোট পেয়ে উড়োজাহাজ প্রতীকের আখতারুজ্জামান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি টিউবওয়েল প্রতীকের মো. সাইদুর রহমান পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৯৯২ ভোট।
এ ছাড়াও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৮৬ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে কলস প্রতীকের নাজনীন আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ফুটবল প্রতীকের মোহসিনা মোসুমী পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৯৭৯ ভোট।
জানা গেছে, সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ১শ ৬৯টি ভোটকেন্দ্রে ১ হাজার ৪শ ১০টি ভোটকক্ষে ভোটদান করে ভোটাররা। এ উপজেলায় ২ লাখ ৬৯ হাজার ৮শ ৭০জন পুরুষ ভোটার ও ২ লাখ ৮১ হাজার ৫ শ ৭৮ জন নারী ভোটার ।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার জানান, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছিল। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে মাঠে ছিল ১৬জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ১ হাজার ২২জন পুলিশ, ৩ হাজার ৪শ ৬জন আনসার। এছাড়াও বিজিবি ও র্যাবের সমন্বয়ে নেওয়া হয়েছিল চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভোট গণনা শেষে রাতেই বেসরকারি ভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, জামালপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজন কুমার চন্দ (মোটরসাইকেল) প্রতীকে, মোহাম্মদ আবুল হোসেন (আনারস) প্রতীকে, মোহাম্মদ আহসানুল ইসলাম (ঘোড়া) প্রতীকে, মো. আসাদুজ্জামান বাবু (দোয়াত কলম) প্রতীকে ও মো. হাফিজুর রহমান (কাপ পিরিচ) প্রতীকে এ ৫জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে আখতারুজ্জামান (উড়োজাহাজ) প্রতীকে , মো. নাজমুল হোসাইন (তালা) ও মো. সাইদুর রহমান (টিউবওয়েল) প্রতীকে এ ৩জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজনীন আক্তার (কলস) প্রতীকে ও মোহসিনা মোসুমী (ফুটবল) প্রতীকে এ ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
Leave a Reply