মোঃ রুহুল আমিন রাজু জামালপুর:-
জামালপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আজ ২২-০৫-২৪ইং রোজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, জামালপুর জেলা পুলিশ তথ্য পায় যে, নিউ স্ট্যান্ডার্ড ফিনান্স এন্ড কমার্স মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ, ঢাকা বনানী দেশের বিভিন্ন স্থানে শাখা খুলিয়া সাধারন মানুষের নিকট থেকে বিনা জামানতে ঋন প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে অর্থ আত্মসাত করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় কিছুদিন পূর্বে জামালপুর সদর থানা এলাকায় উক্ত প্রতিষ্ঠান শাখা খুলে বিভিন্ন পদে লোকবল নিয়োগ করে এবং কর্মীদের নিকট থেকে জামানত বাবদ প্রত্যেকের নিকট থেকে ১,০০,০০০/- টাকা করে গ্রহন করে। প্রত্যেক কর্মীকে ঋণগ্রহীতার মধ্যে ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ) টাকা ঋনগ্রহীতার মধ্যে ঋন বিতরন করার টার্গেট প্রদান করে এবং প্রত্যেক ঋনগ্রহীতার নিকট হইতে ঋন বিতরনের পূর্বে ঋনগ্রহীতার চাহিদা অনুযায়ী ঋনের ১০% অগ্রীম টাকা এবং ১% সার্ভিস চার্জ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে জমা করতে হবে মর্মে শর্তারোপ করে।
পরবর্তীতে উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মীদের নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। কিন্তু নিয়োগের কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও উক্ত প্রতিষ্ঠানটি তাদের কোন রুপ বেতন ভাতা প্রদান করে নাই। অদ্য ২১/০৫/২০২৪ ইং তারিখ উক্ত প্রতিষ্ঠানের জামালপুর শাখা উদ্বোধন করার কথা এবং কর্মীদের যোগদানপত্র প্রদান করার কথা ছিল।
এমতাবস্থায় ২১/০৫/২০২৪ ইং তারিখ বেলা অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় প্রত্যেক কর্মী অফিসে যোগদান করার নিমিত্তে জামালপুর থানাধীন তমালতলা মোড় সাকিনে সওদাগর ম্যানশন দ্বিতীয় তলা (নিউ স্ট্যান্ডার্ড ফিনান্স এন্ড কমার্স মাল্টিপারপাস কো- অপরেটিভ সোসাইটি লিঃ, জামালপুর শাখা অফিসে আসেন।
একই দিন বেলা অনুমান ১২.০০ ঘটিকার সময় জামালপুর শাখার ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম কর্মীদের অফিসে যোগদান না করাইয়া কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পলায়ন করে। এতে কর্মীদের মধ্যে ধারনা জন্ম নেয় যে, উক্ত প্রতিষ্ঠানের এমডিসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজসে কর্মীদের মাধ্যমে ঋনগ্রহীতাদের প্রতিশ্রুত ঋণ প্রদান না করে তাহাদের নিকট হইতে ঋনের ১০% অগ্রীম টাকা, ১% সার্ভিস চার্জ সংগ্রহ করিয়া এবং কর্মীদের প্রদত্ত জামানতের টাকা আত্মসাত করতঃ পলায়ন করার পরিকল্পনা করেছিল।
বিষয়টি জামালপুর জেলা পুলিশের নজরে আসলে কর্মীদের নিকট প্রাপ্ত তথ্য যাচাই পূর্বক সত্যতা প্রমাণ হওয়ায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে জামালপুর থানার মামলা নং ৪৭, তাং-২১/০৫/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-৪০৬/৪২০/১০৯ পেনাল কোড রুজু করা হয়। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আসামীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান।
Leave a Reply