কাফি পারভেজ, জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতা আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা
রাকিবুল হাসান রুবেলসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দেওয়ানগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতা আল মামুন মন্ডল। এজাহারভুক্ত আসামি প্রান্তকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
জানা যায়, অভিযুক্ত রাকিবুল হাসান রুবেল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও দেওয়ানগঞ্জ
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান
আবুল কালাম আজাদের ভাতিজা।
ভুক্তভোগী আল মামুন মন্ডল পরজিত প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান মো. সোলায়মান হোসেনের সমর্থক ও চর আমখাওয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং এলাকার শহিদুল মন্ডলের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা মামুন তার পছন্দের প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান হোসেনকে সমর্থন করেন। এতে বিজয়ী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়। নির্বাচনের পরে ঢাকায় যায় মামুন। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনে দেওয়ানগঞ্জে আসেন। পরে নিজ বাড়ি সানন্দবাড়িতে যাওয়ার পথে দেওয়ানগঞ্জ পৌর শহরের বাদেসশারিয়া বটতলা এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা রুবেলের নেতৃত্বে মামুনের ওপর অতর্কিত হামলা এবং মারধর করা হয়। এতে মামুন আহত হন। আহত মামুন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যান।
ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতা আল মামুন মন্ডল বলেন, নির্বাচনী বিরোধকে কেন্দ্র করে আমার ওপর হামলা করা হয়। আমার পছন্দের মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীকে সমর্থন করায় আমাকে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান রুবেল বলেন, আমরা রাতে বাসায় ফেরার পথে দেখি মামুন ভাইয়ের সাথে কয়েকজন নেশাখোর ছেলের ধস্তাধস্তি হচ্ছে। আমাদের গাড়ির লাইট দেখে ওই নেশাখোর ছেলেরা পালিয়ে যায়। তখন আমরা মামুন ভাইকে এগিয়ে দেই। তার সাথে আমার কোনও ধরনের মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে থানায়
রাকিবুল হাসান রুবেলসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামি প্রান্তকে গ্রেপ্তার করা হযেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply