জামালপুর প্রতিনিধি :
দেওয়ানগঞ্জের সানন্দবাড়ি পাটাধোয়া পাড়ায়
ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং
প্রকল্পের জন্য ভাঙন এলাকাতেই অবৈধ বাল্কহেড
বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে ঠিকাদার। এমন অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ ভাবেই করা হচ্ছে জিও ব্যাগ ডাম্পিং। এমনকি অনেক জিওব্যাগ নদী ভাঙ্গনের কারণে স্বেচ্ছায় নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। তবে এমন একটি বড় প্রকল্পে
নেই কোন মিটার স্কেল। শ্রমিকরা আনুমানিকভাবেই
বস্তায় ভেজা বালু ভরছে। এভাবে ডাম্পিং করার
নিয়ম আছে কিনা? এমন প্রশ্নে স্থানীয়দের মাঝে
কানাঘুষা চলছে। একদিকে জিও ব্যাগ ডাম্পিং,
অন্যদিকে পাশেই অবৈধ বাল্কহেড এ প্রকল্প
কতোটুকু টেকসই হবে।
এ নদের পূর্ব পাড়ে ১ কি.মি এরিয়া জুড়ে বছর
ব্যাপী ভাঙন থাকে। গত বছর ভাঙন রোধে ১৬০
মিটার এলাকাজুড়ে ১৩ হাজার ৩ শত জিও ব্যাগ
ফেলা হয়েছে। ভাঙন চলমান থাকায় এ বছর
পূর্বের জিও ব্যাগ গুলোর কোন হদিস নেই।
এই ভাঙন অব্যাহত থাকলে ইউনিয়নের অর্ধেক
নদীগর্ভে চলে যাবে। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে
চলতি বছরের গত এপ্রিল মাসে সাংসদ সদস্য
নূর মোহাম্মদ’র বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে পানি
উন্নয়ন বোর্ড হতে ৩.৫ কোটি টাকার বরাদ্দ পাশ
হয়। এতে ৭৮ হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা
হবে ভাঙন এলাকায়। ইতিমধ্যে ৪.৫ হাজার জিও
ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। ঠিকাদার হিসাবে কাজ
করছে এমইউবিএমএমবি প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিন সত্যতা পাওয়া যায়, ভাঙনের ডাম্পিং
এলাকাতেই অবৈধ বাল্কহেড চলছে। প্রতিটি ব্যাগে ২৫০ কেজি শুকনো বালু দেওয়ার কথা থাকলেও
শ্রমিকরা অনুমানের উপর ভেজা বালু দিয়ে বস্তা
ভরছে। প্রকল্পে নেই কোন মিটার স্কেল। আবার
মহিষের গাড়ির মাধ্যমে এসব বালু বিক্রি করা
হচ্ছে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। সাংবাদিক
দেখে উপস্থিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত
লোকেরা অন্যত্র চলে যায়। এসময় বালুর ওজন
নিয়ে শ্রমিকেরা বলে, বালুর ওজন না দিলেও বস্তায়
বালুর মাপ ঠিক আছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা বলেন, এলাকার প্রভাবশালীদের উপস্থিতিতে এ দুর্নীতি
চলছে বিধায় সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করছে না।
তবে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি
আকর্ষন করতে চায় এলাকাবাসী। জেলা পানি
উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সাইফুল
ইসলাম ডাম্পিং এলাকা পরিদর্শনকালে বলেন, ভাঙন এরিয়া থেকে ২০০
মিটার দূরে বাল্কহেড চলছে এতে ভাঙন এলাকায়
কোন প্রভাব পড়বে না। অন্যান্য অনিয়মের বিষয়ে
কথা বললে তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান।
Leave a Reply