জামালপুর প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামালপুরের মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি মির্জা আজমসহ আওয়ামী লীগের ১৬ নেতার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে জামালপুর শহর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক শেখ ফরিদ মামুন বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক এমপি মির্জা আজম, জামালপুর সদর- ৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক চৌধুরী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবসর প্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন শফিকুল ইসলাম, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ, জামালপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা ইয়াছমিন লিটা, জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ জহুরুল ইসলাম, বিজু আহম্মেদ, শহর আওয়ামী লীগের নেতা নুরে আলম জিকু, জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের নেতা অমিত, তিলক, যুবলীগ নেতা নিলয় এছাড়াও অজ্ঞাত নামা আরও ১০০ থেকে ২০০ জন। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সাল মো. আতিক দৈনিক ঢাকার ডাক কে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় ১৬ জনের
নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্দলীয় সরকারের দাবি সেই সাথে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারা মুক্তি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি, পুলিশের মিথ্যা মামলা, হামলা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও বিএনপির কার্যালয়ে জবর দখল ভাংচুরের প্রতিবাদে গনমিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি হয় উক্ত কর্মসূচি শেষ করার পর বকুলতলা মোড়ে পথসভা ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করার সময় এমপি মির্জা আজম, জামালপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক চৌধুরী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবসর প্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. শফিকুল ইসলামের নির্দেশে শর্টগান দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর গুলি নিক্ষেপ করা হয়। এছাড়াও অন্যান্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিকটে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়।
এজাহারে আরও উল্লেখ আছে, পথসভা ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করার সময় অজ্ঞাত নামা আরও ১০০ থেকে ২০০ জন পূর্ব-পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দ্যেশে একতিত্র হয়ে পথসভায় অতর্কিত হামলা করে পথসভা ও অবস্থান কর্মসূচী পন্ড করে।
এ ঘটনার ১ বছরের অধিক সময় অতিক্রম হওয়ার পর জামালপুর শহর বিএনপি সাবেক প্রচার সম্পাদক শেখ ফরিদ মামুন বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন
Leave a Reply