মোঃ রুহুল আমিন রাজু জামালপুরঃ জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের হরিপুর পাথালিয়া গ্রামের মাদারদহ নদীর উপর নবনির্মিত ব্রীজের এপ্রোচ সংযোগ সড়ক ও নদী ভাংঙ্গনে দিন দিন নদীর তীর সংরক্ষণ বাধসহ রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে যানবাহন ও সাধারণ মানুষ। এছাড়াও নদীর উপর নবনির্মিত ব্রীজের এপ্রোচের দুই পাশে নদী ভাংঙ্গনে কৃষকের ফসলী জমি বিলীন হয়ে নদীর গর্ভে চলে যাচ্ছে। ব্রীজের দুই পাশের বাড়ীঘর অতি হুমকির মুখে পড়েছে।নদী ভাংঙ্গনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটাসহ কবরস্থান ও কৃষকের ফসলি জমি। এছাড়াও ব্রিজটি সম্প্রতি ২০২২ সালে কাজ শেষ করা হলেও ব্রিজের এপ্রোচ ও সংযোগ সড়কের নতুন নতুন জায়গায় ভাংঙ্গের কারণে রাস্তার বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ কাজ নিম্ন মানের করায় তা দিন দিন দূত ভেঙে যাচ্ছে। তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ কাজ নিম্ন মানের হওয়ায় ব্রিজটির দক্ষিণ পশ্চিম পাশে ভেঙে গিয়ে কবরস্থান ও কৃষকের ফসলি জমি দিন দিন নদীর গর্ভে চলে যাচ্ছে। আগামী বর্যা কালের বন্যার আগেই যদি এই তীর রক্ষা বাঁধ জরুরি মেরামত করা না হয়, তাহলে ব্রিজের দুই পাশের রাড়ীঘর কৃষকের ফসিল জমি ও মানুষের গোরস্থান নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। উপর দিকে ব্রিজের ১০০ গজের পাশই রাজা বাজারে ছোট একটি ব্রিজের অভাবে তিন ইউনিয়নের ২০ গ্রামের ৩০ হাজারের বেশি মানুষ জনদুর্ভোগে রয়েছে। একটি ছোট্ট সংযোগ ব্রিজের দাবি এলাকাবাসীর।
গতকাল সরে জমিনে ঘুরে দেখা গেছে হরিপুর হোছাইনিয়া হাইস্কুল ও হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাথেই পশ্চিম পাশেই মাদারদহ নদীর উপর নবনির্মিত ব্রিজটির ২০০ /৩০০ গজের মধ্যে রয়েছে তিনটি ইউনিয়নের সংযোগ স্থল বা মিলনের রাস্তা সেখানে রয়েছে ১০০ গজের মধ্যে নাংলা ও মাহমুদপুর ইউনিয়নের সীমান্তে অবস্থিত রাজার বাজার নামে একটি বাজার উপর দিকে তার পাশেই ব্রীজ থেকে সংযোগ সড়ক ৩০০ গজের মধ্যে কুলিয়া ইউনিয়নের তেঘুরিয়া সিরিঘাঁটে অবস্থিত পূরাতন জয় বাংলা বাজার যাহা বর্তমানে শ্যামল বাংলা বাজার নামে নামকরণ করা হয়েছে। এখানে ৩টি ইউনিয়নের সংযোগ স্থান হওয়ায় এখানে দুইটি বাজার ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি হাইস্কুল রয়েছে। এখানে এই রাস্তা দিয়ে ২০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা হওয়ায় স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র /ছাত্রী সহ প্রতিদিন ৩০ হাজারের বেশি লোকজনের বসবাস ও যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে সাধারণ মানুষ ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয় অথবা বাঁশের সাগু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। তাই কর্তৃপক্ষেরকাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন এলাকাবাসী জরুরি ভিত্তিতে চলতি বছর বর্ষা মৌসুমের আগেই যেন এখানে নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ মেরামতসহ রাজার বাজারের পশ্চিম পাশে একটি খাল রয়েছে সেখানে একটি অতিদ্রুত ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী। এখানে একটি ছোট ব্রীজের অভাবে ৩ ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা হওয়ায় জনদুর্ভোগে চরমে রয়েছে।এই ছোট্ট একটি ব্রিজ নির্মাণ করলে ২০ টি গ্রামের বাসিন্দাদের জনদুর্ভোগ লাগব হবে বলে এলাকাবাসীর দারী। এখানে ২০ গ্রামের ৩০ হাজারের বেশি লোক বসবাস করে। এবিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নাংলা ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকবারের সফল চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কিসমত পাশা জানান,নাংলা,মাহমুদপুর ও কুলিয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় গণসংযোগ ও মিলন মেলার জায়গা হলো হরিপুর মাদারদহ নদীর ব্রিজ সেখানে ২টি বাজার ও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় সেখানে জনগুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে সেখানে নদী ভাংঙ্গন রোধে জরুরি বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত করা জরুরি তানাহলে চলতি বর্ষায় ও বন্যায় ব্রিজের আশ পাশে নদী ভাংঙ্গনে বাড়ীঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভেঙে নদীর গর্ভে চলে যাবে বলে তিনি জানান। এছাড়াও তিনটি ইউনিয়নের মিলন স্থল রাজার বাজারের উপর ছোট্ট একটি ফুট ব্রিজ নির্মাণ করলে এলাকাবাসীর দুঃখ দুর্দশা লাগব হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply