জামালপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুর সদর উপজেলার ঘোড়াধাপ ইউনিয়নের ভারুয়াখালী বাজারের খাস জমি দখল করে অবৈধভাবে জমি দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা সূত্রে জানা গেছে ঘোড়াধাপ ইউনিয়নের ভারুয়াখালী বাজারের সরকারি খাস জমির পরিমান প্রায় ৫২ শতাংশ। যেখানে সপ্তাহে ২দিন হাট বসে।জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যবসায়ীরা এই বাজার থেকে কৃষি পণ্য ধান,পাট, গম,সড়িষা, হাস,মুরগী, কবুতর, মাছ,মাংসসহ বিভিন্ন কাঁচা মাল ক্রয় বিক্রয় করে থাকেন। দীর্ঘ সাত দশকের বেশী ঐতিহ্য বাহী বাজারটি কালের পরিবর্তনে তার ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলতে বসেছে। কারণ অবৈধ দখলদারি আর সরকারি নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বাজারের জমি দখল করে দোকান -পাট নির্মাণের কারণে বাজারের জায়গা দিন দিন সরু হয়ে যাচ্ছে ফলে একদিকে সাধারণ কৃষক তাদের কৃষি পণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে অসুবিধা হচ্ছে উপর দিকে সরকারের রাজস্ব আদায় কমে যাচ্ছে। সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে ঘোড়াধাপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর ভ্রাতিজার মনোহারী দোকান এবং ইউপি চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই ইব্রাহিম চায়ের দোকানদার ও তার ভাই মোঃ ইয়াকুব আলী মুরগীর দোকান নির্মাণের কারণে বাজারে দিন দিন জায়গা একেবারে কমে যাচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষ বাজারের ভিতরে কাঁচা বাজার করতে গেলে রাস্তায় হেঁটে চলাচল করতে এক জন উপর জনের সাথে ধাক্কা ধাক্কি করে বাজার করতে হয় এতে ভিড়ের কবলে পড়ে অনেক ক্রেতা বিক্রেতা পকেট মারের কবলে পড়ে অনেক সময় টাকা পয়সা খোয়া যায়। এতে অনেকেই সর্বশান্ত হয়ে যায় বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ঘোড়াধাপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বলেন, সরকারি জায়গা আমি তো দখল করতেছি না এটা আমার ভাতিজার মনোহারি দোকান আগে টিনের চালা ছিলো এখন নতুন করে ভিটে পাকা করে টিনের চালা ঘর উঠানো হচ্ছে। তবে সরকারী কাজের প্রয়োজন হলে যে কোন মুহূর্তে আমি বা আমার ভাতিজা ভেঙে দেওয়া হবে বলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ভারুয়াখালী বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীদের কোনো লাইসেন্স নেই। এরা দীর্ঘ দিন যাবৎ এইভাবে দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করে তাদের ব্যবসা করে আসছে।এই বাজারে মোট ১৮ টি অবৈধ দোকান ঘর আছে যাহার কোন প্রকার লাইসেন্স নেই। আমরা বছরে মাঝে মধ্যে তাদের কে বললেও কেউ কোন প্রকার কর্ণপাত করে না।তবে আমি আমার উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
Leave a Reply