বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারো যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেছেন, ভিসা এবং নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয়গুলো নিয়ে তারা চিন্তা করতে চান না।
শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কে আমাদের ভিসা দেবে না, কে আমাদের স্যাংশন দেবে, ওনিয়ে মাথাব্যথা করে কোনো লাভ নাই।’
শনিবার (৩ জুন) ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০ ঘণ্টা প্লেনে জার্নি করে, আটলান্টিক পার হয়ে, সেই আমেরিকায় না গেলে কিচ্ছু আসে যায় না। পৃথিবীতে আরো অনেক মহাসাগর আছে, অনেক মহাদেশ আছে। সেই মহাদেশের সাথে মহাসাগরেই আমরা যাতায়াত করব আর বন্ধুত্ব করব। আমাদের অর্থনীতি আরো মজবুত হবে, আরো উন্নত হবে, আরো চাঙা হবে।’
আমেরিকার নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘তাদের উচিত বিএনপির দিকে নজর দেয়া। কারণ, কানাডার হাইকোর্ট বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এই সন্ত্রাসী এবং দুর্নীতির দায়ে এই আমেরিকাই কিন্তু তারেক জিয়ারে কিন্তু ভিসা দেয় নাই। কাজেই, এখন তারা আবার তাদের কাছে ধর্না দেয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে নিজের পায়ে ভর করে চলবে, কারো মুখাপেক্ষী থাকবে না।
মাত্র ১০ দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে যারা বাধা সৃষ্টি করবে তাদের আমেরিকার ভিসা দেয়া হবে না।’
এমন প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা এসব মন্তব্য করেছেন।
আমেরিকার নতুন ভিসানীতি ঘোষণার পর থেকে দুই প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দাবি করছে এটি তাদের প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার খোলাখুলি আমেরিকার সমালোচনা করেন এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে ভাষণ দেবার সময়। এরপরো তিনি একাধিকবার আমেরিকার সমালোচনা করেছেন।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়েও শনিবার অনুষ্ঠানে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন তেল, গ্যাস ও কয়লার দাম বেড়ে যাবার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।
শেখ হাসিনা আবারো দাবি করেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে নানা সঙ্কট তৈরি হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, বর্তামানে আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লা পাওয়া যাচ্ছে না এবং এজন্য কয়লা কিনে আনতে সমস্যা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন,‘আগে যারা একসময় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা করে বেড়াচ্ছে, আন্তর্জাতিকভাবে বলব, তারাই এখন আবার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে।’
তিনি বলেন, গ্যাস কেনার জন্য কাতার এবং ওমানের সাথে চুক্তি হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি
Leave a Reply