কাফি পারভেজ, জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুর সদরের মহেশপুর কালিবাড়িতে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর ঈগল প্রতীকের প্রচার কেন্দ্রে হামলা-ভাংচুর করেছে নৌকার সমর্থকরা। এ সময় হামলাকারীরা ৩টি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেছে। বুধবার রাত ৮টায় এসব ঘটনা ঘটে। একই সময় সদরের গোলাপআলী ও খড়খড়িয়া কেন্দ্রেও হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার বিচার দাবিতে ঈগলের সমর্থকরা জামালপুর-ময়মনসিংহ সড়কের মহেশপুর কালিবাড়িতে গাছেল গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর অভিযোগ,৩ জানুয়ারি রাত ৮টায় নৌকার সমর্থকরা ঈগলের কেন্দ্রে সশস্ত্র হামলা চালায়। হামলায় ঈগলের ১০/১২ জন কর্মী আহত হয়েছে। এ সময় ৩টি মোরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেছে হামলাকারীরা। নৌকার নিশ্চিত পরাজয় জেনে তারা হামলা করছে বলেও অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজনু। ভোটারের উপস্থিতি কমানোর জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। তিনি বলেন, যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পার্টির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচনকে উৎসবমূখর করতে এবং ভোটারের উপস্থিতি বৃদ্ধি করতে বলছেন, সেখানে জামালপুরে তার উল্টোটা করছেন নৌকার প্রার্থী। নৌকার প্রার্থী কালো টাকা ছড়িয়ে নির্বাচনে পরিবেশ নষ্ট করছেন বলেও অভিযোগ করেন।
এ ছাড়াও দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে চ্যানেল আই এর ক্যামেরা পারসন মো. শান্তসহ ৫ ক্যামেরা পারসন পুলিশের পিটুনিতে আহত হয়। গুরুতর আহত মো. শান্তকে জামালাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জামালপুর শহরসহ প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় থমথমে পরিবেশ সৃস্টি হয়েছে। এখনো জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রেখে ঈগল প্রার্থীর সমর্থকরা।
সদর থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করছে।
ঘটনার পর নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ তার ফেসবুক পেইজে স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছেন, ‘জামালপুর সদর উপজেলার মহেশপুর কালিবাড়িতে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, নৌকার কর্মীদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ঘটনার মুল হোতা লুৎফুল কবির বাবুর দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জামালপুর-৫ (সদর) আসনের নৌকার প্রধান এজেন্ট এডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বলেন, নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ওই এলাকায় নির্বাচনী প্রচারনা চালায়। এ সময় ছাত্রলীগ তিন নেতা নৌকা ও ঈগলের প্রচার কেন্দ্রের মাঝামাঝি মোটরসাইকেল রাখে। ঈগলের উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা ছাত্রলীগের নেতাদের তিনটি মোটর সাইকেল পুড়ে দেয়। এ সময় ছাত্রলীগের ৫ জন আহত হয়।
Leave a Reply