কাফি পারভেজ, জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পৌর শহরের কোজগড় এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া মর্টারশেলটি মঙ্গলবার বেলা ১০.৫৮মিনিটে বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিস্ক্রিয় করেছে ঘাটাইল সেনাবাহিনীর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের বোম ডিসপোজাল ইউনিট।
এ সময় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে সেনাবাহিনী, র্যা ব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ঘাটাইল সেনানিবাসের ১৯ পদাতিক ডিভিশনের বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল কাদেরের নেতৃত্বে এই অভিযানটি পরিচালনা হয়। বোমটি নিস্ক্রিয় করতে কাজ করেন ক্যাপ্টেন মোহতাসিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন র্যা ব-১৪ জামালপুর কর্মকর্তা মেজর মো. আবরার ফয়সাল সাদী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেনাজ ফেরদৌস, সদর এএসপি সোরহাব হোসেন, সদর থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবিরসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগণ।
সদর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ঘাটাইল সেনানিবাসের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হলে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে মঙ্গলবার বেলা ১০.৫৮ মিনিটে মর্টারশেলটি বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিস্ক্রিয় করে ঘটাইল সেনাবাহিনীর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের বোম ডিসপোজাল ইউনিট।
জামালপুর সদর থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় লোকজনদের রাতেই নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নিতে বলা হয়। সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটে রাতেই খবর দেয়া হয়। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিস্ক্রিয় করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস জানান, মর্টার শেলটি পাওয়া গেছে খবর শুনে ঘাটাইল ক্যান্টরমেন্টে যোগাযোগ করা হয়। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়দের ঘটনাস্থল থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিস্ক্রিয় করে বোম্ব ডিসপোজাল টিম।
উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যার দিকে কোজগড় এলাকায় জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পূর্বপাশে একটি ওয়েল্ডিংয়ের দোকানের পেছনে পরিত্যক্ত স্থানে গাছগাছড়ার মধ্যে মর্টারশেল আকৃতির একটি বোমা পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। বিষয়টি জানাজানি হলে সেখানে উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়। এ নিয়ে জনমনে বোমা আতঙ্ক দেখা দেয়। খবর পেয়ে রাতেই জামালপুর সদর থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
Leave a Reply