কাফি পারভেজ, জামালপুর প্রতিনিধি:
ছাত্রলীগের দুই নেতাকে অব্যাহতি টিসি নিয়ে শিক্ষার্থীকে ভর্তি না করার অপরাধে এবং কলেজের এক কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ দুই নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে সদর থানায় মামলার হওয়ার পর দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে জেলা ছাত্রলীগ।
জানা যায়, বুধবার ১৭ জানুয়ারি দুপুরে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের কম্পিউটার কক্ষে এক কর্মচারীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। অব্যহতি প্রাপ্তরা হলেন- আশেক মাহমুদ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: শামীম আহমেদ ও সহ-সভাপতি নাদিম হোসেন জয়।
মারধরের শিকার কলেজের হিসাব রক্ষক মো.হেলাল উদ্দিন বলেন, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো.শামীম আহম্মেদ আমার কাছে এসে টিসিতে ভর্তি করতে এক শিক্ষার্থীকে তালিকায় নাম লিখতে বলেন। আমি অধ্যক্ষের অনুমতি নেয়া ছাড়া নাম তালিকায় না তুলতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এরপর উপাধক্ষের কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় তার সাথে জয়সহ আরো ৪ জন ছিল। এক পর্যায়ে আমাকে টেনে হিচড়ে অটোরিকসায় তুলে মারধর করতে করতে পৌর গোরস্থানে নিয়ে যায় জানে মেরে ফেলতে। এ সময় আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে জানতে অব্যাহতি প্রাপ্ত কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো: শামীম আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা যায়নি।
জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবিরুল ইসলাম বাবু বলেন, এ ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা দুইজনকে সাময়িক অব্যহতি দিয়েছি। তদন্ত চলছে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরবর্তীতে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে সুপারিশ করা হবে।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হারুণ অর রশীদ বলেন, মো.শামীম আহম্মেদ ও নাদিম হাসানের নেতৃত্বে কয়েকজন কলেজের সাধারণ শাখায় কম্পিউটার কক্ষে প্রবেশ করেন। শামীম আহম্মেদ টিসি মূলে এক শিক্ষার্থীকে কলেজে ভর্তি করতে বলে। তখন মো.হেলাল উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষের অনুমতি ব্যতীত ভর্তি তালিকায় এপ্রোভে অস্বীকৃতি জানান। পরে ওই দুজনের নেতৃত্বে তাঁকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তাঁদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করা হয়। এ সময় সরকারি দায়িত্ব পালনকালে তাঁরা মারধর শুরু করেন। তাঁরা এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে তাঁরা টেনে হিঁচড়ে তাঁকে (হেলাল) ওই কক্ষ থেকে বের করে। পরে কলেজ থেকে তাঁকে অটোরিকশায় উঠিয়ে নেওয়া হয়। অটোরিকশায় উঠিয়েও তাঁকে মারধর করতে-করতে পৌর কবরস্থানে নেওয়া হয়। তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়।
Leave a Reply