জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুরের ইসলামপুরে জাল দলিল তৈরি করে জমি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বাঁধন সোসাইটি নামে এক এনজিও’র বিরুদ্ধে।
১৯৯২ সালে গড়ে উঠা জেলার ইসলামপুর থানাধীন পলবান্ধায় স্বনির্ভরতা ও শিক্ষা কার্যক্রম (স্বশিখা) সমিতির জায়গা জাল দলিল তৈরী করে বিক্রি করেছে বাঁধন সোসাইটি। গত ২০২২ সালের ১৭ আগষ্ট তারিখে স্বশিকার ১৮ শতাংশ জমি ৫০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় সাব-কবলা দলিল মূলে সওদাগর ইটভাটার মালিক সহোদর তিন ভাই মো. আমিরুল ইসলাম, মো. নজরুল ইসলাম ও মো. রফিকুল ইসলাম এর কাছে হস্তান্তর করে বাঁধন সোসাইটি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্বনির্ভরতা ও শিক্ষা কার্যক্রম (স্বশিখা) সমিতির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৩ শতাংশ এবং বিপুল পরিমান গ্রাহক সংখ্যা। কয়েক বছর আগে স্বশিখা সমিতি বাঁধন সোসাইটির কাছে তাদের প্রতিষ্ঠানটি ভাড়া দেয় এবং পরবর্তীতে বাঁধন সোসাইটি জাল দলিল তৈরি করে স্বনির্ভরতা ও শিক্ষা কার্যক্রম (স্বশিখা) সমিতির ওই ১৮ শতাংশ জায়গা বেআইনি ভাবে বিক্রি করে।
অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, উক্ত জমিতে
স্বশিখা এর সদস্যগন সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি মাটি ভরাট করে একটি হাফ বিল্ডিং, দু-চালা টিনের বারান্দাসহ ঘর নির্মাণ ও মেহগনি ও ইউক্লিপটাস গাছের বাগান করেছিল। কিন্তু পলবান্ধা গ্রামের মৃত মনসুর আলী শেখ এর ছেলে সৈয়দ আলীর যোগসাজশে ও বাঁধন সোসাইটির অন্যান্য সদস্যদের ষড়যন্ত্র ক্রমে স্বশিকা সমিতির ভূয়া সদস্য হয়ে মিথ্যা, ভুয়া ও জাল কাগজপত্র বানিয়ে জমি বিক্রয়ের ষড়যন্ত্র করে।
এ বিষয়ে বিজ্ঞ ইসলামপুর সহকারী জজ আদালত, জামালপুর ৩৫৩/২২ নং চীরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন কিন্ত বাঁধন সোসাইটি আদালতের আদেশ অমান্য করেছে।
স্থানীয়রা জানান, স্বনির্ভরতা ও শিক্ষা কার্যক্রম (স্বশিখা) একটি পুরোনো সংগঠন। এ সমিতি বাঁধন সোসাইটির কাছে তাদের প্রতিষ্ঠানটি ভাড়া দিয়েছিল। পরবর্তীতে বাঁধন সোসাইটি জাল দলিল তৈরি করে স্বনির্ভরতা ও শিক্ষা কার্যক্রম (স্বশিখা) সমিতির জায়গা জাল দলিল তৈরি করে অন্যত্র বিক্রি করে করে দিয়েছে।
তারা আরো বলেন, এ বিষয় নিয়ে এলাকায় কয়েক বার বিচার সালিশ হলেও কোন প্রকার মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি।
স্বশিখা সমিতির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যরা বলেন, ৩৩ শতাংশ জায়গার মধ্যে আমাদের স্বশিখ প্রতিষ্ঠানটি। বাঁধন সোসাইটির কাছে এটি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা প্রতারণার মাধ্যমে এখান থেকে ১৮ শতাংশ জায়গা প্রভাবশালীদের নিকট বিক্রয় করে দিয়েছে।
উপরোক্ত বিষয়টি কে কেন্দ্র করে বর্তমানে পলবান্ধায় স্বনির্ভরতা ও শিক্ষা কার্যক্রম (স্বশিখা) সমিতি সকল সদস্যদের মধ্যেই চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। কি উপায়ে বৈধ জমির জাল কাগজ পত্র বানিয়ে অন্য স্থানে বিক্রি করা যায়? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এমন প্রশ্নের সঠিক জবাব চান সকলেই।
Leave a Reply