কাফি পারভেজ, জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ইফতারের সময় ডেকে নিয়ে উজ্জল মিয়া (১৪) নামে এক কিশোরকে হত্যা করেছে বন্ধুরা। নিখোঁজের চারদিন পর রবিবার বিকেলে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত উজ্জল মিয়া উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চরবালিয়া পূর্ব পাড়া গ্রামের ওসর আলীর ছেলে। উজ্জ্বল মিয়া শেখ খলিলুর রহমান ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাথে সে রাজমিস্ত্রির হেলপারের কাজ করতো।
হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে দুই বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ। আচককৃতরা হলো একই এলাকার আ. বারেকের ছেলে আবু সাইদ (১৫) ও শহিদুল ইসলামের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (১৪)।
নিহতের ফুফাতো ভাই মিজানুর রহমান জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ইফতারের সময় তার ইমু নম্বরে একজন কল করে। ফোন পেয়ে উজ্জ্বল মিয়া বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে উজ্জ্বলের নম্বর থেকে বোন অন্তরা আকতারকে জানানো হয় যে, বিকাশে ৫ হাজার টাকা পাঠাতে হবে। এর পর থেকেই পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে ওইদিন রাত ১১টায় সরিষাবাড়ি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রবিবার দুপুরে বাড়ির আঙ্গিনায় তার বোন কাজ করছিল। এ সময় প্রতিবেশী রাজমিস্ত্রী আপেলের বাড়ির পায়খানার সেপটিক ট্যাংক থেকে গন্ধ বের হয়। পরে ট্যাংকের মুখ খুলে উজ্জল মিয়ার লাশ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত উজ্জল মিয়ার বাবা ওসর আলী বলেন, ‘ছেলেডারে বন্ধুরা মাইরা আবার আমার বাড়ির পাশে ট্যাংকের মধ্যে রাইখা গেছে। আমি ছেলে হত্যার উপযুক্ত বিচার চাই।’
সরিষাবাড়ি থানার ওসি মুশফিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহরাব হোসাইন জানান, গত ২৭ মার্চ আমাদের কাছে একটি অভিযোগ এসেছিল। অভিযোগ এর পরেই আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেছি। ইমোতে মোবাইল ফোনে উজ্জলের মুক্তিপণ চেয়ে কল দেওয়া হয়। আমরা নাম্বারটি ট্রেকিং করেছিলাম। নাম্বারটি বন্ধ ছিল। হঠাৎ সংবাদ পেলাম বাথরুমের টাংকিতে লাশ রয়েছে। এরপরেই আমরা ২ জনকে আটক করি। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে৷
Leave a Reply