কাফি পারভেজ, জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনও পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন জেলার ৭ উপজেলার ৪২টি ইউনিয়নের প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ। দুর্গত এলাকায় ডুবে থাকা ২১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গত কয়েকদিনের বন্যার পানির তোড়ে বকশিগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আচ্চকান্দি গ্রামের সড়ক ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়াও গাজীরপাড়া বাজার থেকে কামালেরবার্ত্তী সড়কের ঠান্ডারবন্দ গ্রামে এলজিইডির পাকা সড়কটির পাড় ধ্বসে যাওয়ায় যেকোন সময় ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ কারণে এই সড়ক দিয়ে চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের রাস্তাঘাট বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। একই ইউনিয়নের কুতুবেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও যেকোন সময় নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে।
জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বন্যার পানি উঠায় ইসলামপুর উপজেলায় ৩০টি, দেওয়ানগঞ্জে ২৫টি, মাদারগঞ্জে ৭টি এবং বকশিগঞ্জে একটিসহ মোট ৬৩টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এছাড়া জেলার ছয় উপজেলায় ১৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মোজাম্মেল হাসান জানান, বন্যার পানির কারণে বর্তমানে ৬৩ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর যেসব বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে পানি ঢুকেছে সেসব প্রতিষ্ঠানে মূল্যায়ন পরীক্ষাও বন্ধ আছে।
জেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তারেক মো. রওনাক আখতার জানান, শুধুমাত্র সদর উপজেলা ছাড়া জেলার ছয় উপজেলায় ১৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। পানি নেমে গেলে আবারও শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরতে পারবে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক শফিউর রহমান জানিয়েছেন, দুর্গত এলাকায় শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বানভাসী অনেক মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। দুর্গত এলাকায় ৩৫০ মেট্টিকটন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply