মোঃ রুহুল আমিন রাজু জামালপুর প্রতিনিধি : শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থেকে বিবাহের প্রলোভনে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যৌনপল্লীতে বিক্রির অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে জামালপুর যৌন পল্লী থেকে ওই যুবতীকে (২০) উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১০আগষ্ট বৃহস্পতিবার ভিকটিমকে শেরপুরের বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
শ্রীবরদী থানার খড়িয়া কাজিচর ইউনিয়নের বাসিন্দা ভিকটিমের মা ৯ আগষ্ট শ্রীবরদী থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন যে, তার মেয়েকে বিবাহের প্রলোভনে ফুঁসলিয়ে নিয়ে জামালপুর যৌনপল্লীতে পাঁচার করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতেই জামালপুর যৌনপল্লী থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার একমাত্র আসামি শেরপুর সদর থানার চর শেরপুর নিজপাড়া গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেন ওরফে ডাইয়ার ছেলে মো. লোকমান মিয়া (২৩) তাদের পূর্ব পরিচিত। সেই সুবাদে
আসামি ইসমাইল হোসেন ওই যুবতীকে বিবাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে যাচ্ছিল। আসামি ইসমাইল ঘটনার দিন ওই যুবতীর পিতার বসত বাড়িতে এসে ওই যুবতীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। এদিকে ভিকটিমকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে পরিবারের লোকজন।
গত ৫ আগষ্ট একটি অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে ভিকটিমের মায়ের মোবাইল নাম্বারে একটি ফোন কল আসে। কলটি রিসিভ করার পর ওপাশ থেকে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকে। ভিকটিমের মা তার মেয়ের কন্ঠস্বর চিনতে পারলেও ফোনটি তৎক্ষণাৎ কেটে দেয়া হয়। পরবর্তীতে আরো একটি মোবাইল নাম্বার থেকে (০১৯৭৬৮২৯৬২১) ফোন দিয়ে ভিকটিম বলে যে, সে জামালপুর যৌনপল্লীতে আছে। পরে ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য শ্রীবরদী থানায় অভিযোগ দায়ের করে ভিকটিমের মা।
উক্ত বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে শ্রীবরদী থানার মামলা (নং-১২ তারিখ-৯-০৮-২৩ ধারা- মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ১০/১১) রুজু করা হয় এবং অভিযানে নামে পুলিশ।
ভিকটিমের মা বলেন, “কি করবো বুঝতে পারছিলাম না, কোথাও সহযোগীতা না পেয়ে শেষে শ্রীবরদী থানায় আসি। ওসি স্যারের জন্যই মেয়েকে ফিরে পেলাম। দোয়া করি, আল্লাহ তার ভাল করবেন।”
এবিষয়ে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, “ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতেই জামালপুর যৌনপল্লী থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এজন্যে নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।” শিঘ্রই তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
Leave a Reply