মোঃ রুহুল আমিন রাজু জামালপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার নাংলা ইউনিয়নে চলতি বছর উজান থেকে পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টির কারণে বন্যায় ডুবে গেছে ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় অধিকাংশ গ্রামের মানুষ। নৌকা ছাড়া এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি যেতে পারছে না বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষ। বন্যার পানিতে ডুবে গেছে বান্না ঘর, গোয়াল ঘর ও মানুষের থাকার ঘর। দেখা দিয়েছে মানুষের তীব্র খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সংকট। গো খাদ্যের অভাবে গবাদিপশুর জীবন সংকটের মুখে।চারদিকে শুধু ধু ধু পানি আর পানি, রাতের আধারে সাপের ভয়ে আতংকে কাটছে তাদের জীবন
এত দুঃখ দুর্দশায় জনজীবন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বানবাসি মানুষের। বিস্তৃণ এলাকায় মাঠে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের ফসল ধানের বীজতলা থেকে শুরু করে,শাক,শব্জি, তরী তরকারি, পাটের ক্ষেত, মাছের খামার,পুকুর সহ কৃষকের নানান ফসল। ইতি মধ্যেই জরুরি সরকারি সাহায্য পায় নাই বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষ। গত ৭জুলাই রবিবার নাংলা ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকবারের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কিসমত পাশা তার নিজ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ও এলাকায় সরে জমিনে ঘুরে পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, নাংলা ইউনিয়ন প্রায় ৯০ভাগ এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। পানি বন্দী মানুষের দুঃখ দুর্দশার শেষ নেই।মানুষের রান্না করা থেকে শুরু করে খাওয়া, দাওয়া,বিশুদ্ধ পানি সংকট,শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।মানুষের টয়লেট করা পর্যন্ত কষ্ট হচ্ছে। অন্য দিকে কৃষকের বীজতলা থেকে শুরু করে সকল কিছু বন্যার পানিতে ডুবে গেছে বিস্তৃত ফসলের মাঠ।অনেক জায়গায় রাস্তা, ঘাট,ব্রিজ, কালভাট তলিয়ে গিয়ে নষ্ট যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তিনি আরো বলেন নাংলা ইউনিয়নের বরখাল ব্রিজটির একপাশে ফাটলসহ এপ্রোচ ভেঙে গেছে এতে করে জনগণের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বেশি বন্যা কমার সাথে সাথে ব্রিজের এপোচ দ্রুত মেরামত করতে হবে তা না হলে ব্রিজটি ভেঙে পড়তে পারে। নাংলা ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কিসমত পাশা বন্যা এলাকা পরিদর্শন করেন এই প্রতিবেদককে একথা বলেন এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন নাংলা ইউনিয়ন পরিষদের ১নং পেনেল চেয়ারম্যান আশরাফ আলী, ২নং পেনেল চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম বাদশা, শহিদুল্লাহ মেম্বার, মাহবুব মেম্বার, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আব্দুল্লাহ বিশু প্রমুখ।
Leave a Reply