জামালপুর প্রতিনিধি: সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ মাহাবুর হাসান হৃদয় (১৫), নয়াপাড়া জুয়েল ম্যানশনের ছাত্রাবাসে থেকে পড়ালেখা করে।
মো: মোজাম্মেল হক বলেন আমার ছেলে হৃদয় ৬ নভেম্বর বুধবার সকাল ০৮.৪৫ টায় ছাত্রাবাস হইতে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। নয়াপাড়া চাররাস্তার মোড় সংলগ্ন সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের নির্মাণাধীন পানাউল্লাহ হলের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছলে অজ্ঞাতনামা ০২ জন মোটর সাইকেল আরোহী হৃদয়কে অপহরণ করে মোটর সাইকেলে উঠিয়ে সিংহজানি বয়েজ স্কুল সংলগ্ন পরিত্যক্ত ভবনের একটি কক্ষে নিয়ে যায়।
সেখানে আরোও অজ্ঞাতনামা ০৪ জন লোক উপস্থিত ছিল। সেখানে বিবাদীরা আমার ছেলেকে চর থাপ্পর ও কিলঘুষি মারিয়া ভয় দেখায়, তোর বাড়ীতে ফোন করে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা পাঠাতে বলে। যদি টাকা না আনতে পারিস তাহলে তোর ব্যাগে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়া পুলিশে ধরিয়ে দেবো এবং তোর ব্যাগে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ভিডিও করে মাদক ব্যবসায়ি হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবো। ছেলে ভয় পেয়ে আমার নিকট ফোন করে ৭,০০০/-টাকা পাঠানোর জন্য বললে আমি ছেলের জীবন বাঁচানোর জন্য বিকাশ নাম্বার ০১৭৯৫-১৫০৬১৯ হইতে আমার ছেলের বিকাশ নাম্বার ০১৮৩০- ৭৬৮৯০৯ তে দ্রুত ৭,০০০/-টাকা পাঠাই। ছেলের মোবাইলে টাকা পাঠানো মাত্রই বিবাদীরা আমার ছেলের মোবাইল হইতে বিবাদীদের মোবাইল নাম্বার ০১৮৩৬-২২৪৮৯৯ তে ৬.৯৫০/-টাকা সেন্ড মানি করিয়া নেয়। বিবাদীরা ছেলেকে আইনের আশ্রয় না নেয়ার জন্য ভয় দেখায় এবং রিক্সায় উঠিয়ে দেয়।আমার ছেলের পরিচিত সঞ্জীবের সহায়তায় জামালপুর থানায় উপস্থিত হয়। পুলিশকে উল্লেখিত বিষয়ে অবগত করলে তাৎক্ষনিক পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতাকৃত আসামী আরাফাত হোসেন আদনান (২১), পিতা হাসানুর রহমান হাসান, উত্তর কাচারীপাড়া, জামালপুর। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত বলে শিকার করে।
ঘটনার সত্যতা শিকার করে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু ফয়সাল মো: আতিক বলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০২০ এ ৭,৮ ও ৩০ নং ধারায় মামলা হয়েছে।
Leave a Reply