কাফি পারভেজ, স্টাফ রিপোর্টার:

দেশের বৃহৎ ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানায় চাঁদাবাজি নিয়ে বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে চাঁদাবাজি প্রতিরোধ পক্ষের বিএনপি কর্মী বজলু, খোকন, মুকুল,জুলহাস, মুসা, শাহিন ও ফারুক আহত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ২ ঘটিকার দিকে কারখানার গেইটপাড়ে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, যমুনা সার কারখানায় বিদেশ থেকে আমদানী ও ঘোড়াশাল সার কারখানা থেকে আমদানী করা সার যমুনা সার কারখানায় আনলোড ও লেডিং কাজে দখলদারিত্ব এবং চাঁদাবাজি নিয়ে বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

সূত্র আরে জানায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার শাসনামলে এ চাঁদাবাজি হয়ে আসছিল। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী ‘লীগ সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট থেকে সরিষাবাড়ী উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য চান মিয়া চানুর নির্দেশে লিটন মিয়ার নেতৃত্বে অংকন ও উজ্জ্বলের মাধ্যমে গাড়িপ্রতি লেবারদের বকশিসের নামে ৬৫০ টাকা হারে চাঁদাবাজি হয়ে আসছিল। এরই প্রতিবাদে কান্দারপাড়া গ্রাম নিবাসী বিশিষ্ট সার ব্যবসায়ী উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সাইদুর ইসলাম তোতার নেতৃত্বে একদল বিএনপিকর্মী প্রতিবাদ করলে চাঁদাবাজ চক্র প্রতিবাদী বিএনপিকর্মীদের উপর হামলা করে।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লেবারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, লেবার বকশিসের নামে গাড়িপ্রতি ৬৫০ টাকা চাঁদার ভাগ আমরা লেবাররা কোন টাকা পাই না। এই টাকা অংকন ও উজ্জ্বল বিএনপির দাপট দেখিয়ে আত্মসাৎ করে আসছে। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, প্রতিদিন গড়ে ১শ’ গাড়ি আনলোড হচ্ছে। সেই হিসেবে প্রতিদিন আমাদের কথা বলে ৬৫ হাজার টাকা চাঁদাবাজি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে যমুনা সার কারখানার প্রশাসন জিএম দেলোয়ার হোসেন জানান, চাঁদাবাজির বিষয়টি কারখানা কর্তৃপক্ষ অবগত নয়। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি বাহিরের ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই।