কাফি পারভেজ, জামালপুর প্রতিনিধি:
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সাত তারিখে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশে বিএনপি ভোট বর্জন করলেও জামালপুর সদরে বিএনপির মহানায়ক শালা শ্বশুর মিলে জামাইকে নির্বাচিত করতে চায় এবং ভোট কেন্দ্রে বিএনপির পদধারী কোন নেতা-কর্মীকে দেখা মাত্রই তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করার কথা বললেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি।
জানা যায়, ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে জামালপুর-৫ সদর আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্যসচিব মো. আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনি গণমিছিল শেষে শহরের বকুলতলায় এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা আজম এমপি। তিনি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন কোন ভোট কেন্দ্রে বিএনপির পদধারী কোন নেতা-কর্মীকে আপনারা যদি দেখেন, সাথে সাথে তাকে ধরে ফেলবেন এবং পুলিশে সোপর্দ করবেন। তারা নির্বাচন বর্জন করেছে। ভোট কেন্দ্রে তাদের কাজ কি? নাশকতা ও ব্যালটবাক্স ছিনতাই করার জন্যই তারা ভোট কেন্দ্রে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই গণমিছিল এটাই প্রমাণ করে যে, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জামালপুর সদর আসনের নৌকার প্রার্থীকে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করবে। আবুল কালাম আজাদ এমপি নির্বাচিত হবেন। এরপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে শপথ গ্রহণ করবেন তিনি।
মির্জা আজম বলেন, আমাদের সবচে বড় দায়িত্ব ভোটের দিন প্রতিটি ভোট কেন্দ্র্র পাহারা দিতে হবে। বিএনপি সারা বাংলাদেশে সকল নির্বাচন বর্জন করেছে। আর এই সদরের নির্বাচনে স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর (মো. রেজাউল করিম) শ্বশুর (সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী) হলো বিএনপিনেতা। তার মামাশ্বশুর হলো বিএনপির মহানায়ক। সারাদেশে বিএনপি ভোট বর্জন করলেও জামালপুরে তাদের জামাইকে নির্বাচিত করতে চায়। এই জামাইকে, তাকে জামালপুরের মানুষ চিনেন, জানেন।
তিনি বলেন, এই কারণে আমাদের এই দুই দিন অত্যন্ত সজাগ থাকতে হবে। কারণ তাদের জামাইকে যখন নির্বাচিত করতে না পারবে। তখনই এই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য তারা ভোট কেন্দ্রে আগুন দিতে পারে। বিভিন্ন সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটাতে পারে। অগ্নিসংযোগ করতে পারে। মানুষ হত্যা পর্যন্ত করতে পারে তারা। ইতিমধ্যে গত বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাতে তারা আওয়ামী লীগের কর্মীদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। নৌকার প্রচারকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। আমরা পারতাম জবাব দিতে। কিন্তু আমাদের শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ একজন শান্ত ও ধৈর্যশীল মানুষ। সে কারণে সেই সন্ত্রাসের প্রতিবাদ আমরা সন্ত্রাস দিয়ে জবাব দেই নাই।
ভোট কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা আজম এমপি আরো বলেন, আমরা দেখেছি ২০১৪ সালে বিএনপির চরিত্র। সেই চরিত্র আমরা ভুলি নাই। সে কারণে আমরা আগামী ৭ জানুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট এবং ভোট গণনার পর রেজাল্ট ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত আমরা প্রতিটি ভোট কেন্দ্র পাহারা দিবো।
জামালপুর পৌর শাখা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত গণমিছিল শেষে বকুলতলায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুম রেজা রহিম। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নৌকার প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ, জামালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন প্রমুখ।
Leave a Reply