কাফি পারভেজ, জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুরে জেলা কারাগারে বন্দিদের বিদ্রোহ, অগ্নিসংযোগ ও ফটক ভেঙে পালানোর চেষ্টার ঘটনায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও জেলারসহ আহত হয়েছেন ১৮ জন। এর মধ্যে বন্দি রয়েছেন ৪ জন এবং কারারক্ষী রয়েছেন ১৪ জন।
নিহত বন্দিরা হলেন, ফহিম মিয়ার ছেলে আরমান, রায়হান (পিতা অজ্ঞাত), মাসুদ মিয়ার ছেলে শ্যামল, ফজলে রাব্বি বাবু (পিতা অজ্ঞাত), নুরুল ইসলামের ছেলে জসিম ও রাহাত (পিতা অজ্ঞাত)। তারা সবাই জামালপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা।
শুক্রবার (০৯.০৮.২৪) বেলা ১২ টার দিকে জামালপুর জেলা কারাগারের জেলার আবু ফাতাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে কারাগারের ভেতরে বন্দিদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ ফেরানোর সময় বন্দিরা কারাগার থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পরিস্থতি নিয়ন্ত্রনে ফাঁকা গুলি করে কারারক্ষীরা। পরে বিক্ষুব্ধ বন্দিরা কারাগারের ভেতরে দুইটি ভবন, জেলারের কক্ষ ও প্রধান গেইটের ভেতরে গেইট ভাংচুরের পর অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় বন্দিদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে ১৩ কারারক্ষী। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থতি কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আনে এবং রাতে কারারক্ষীদের ফেরত দেয় বন্দিরা। বিদ্রোহের ১২ ঘন্টা পরও কারাগারে প্রবেশ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ভোর রাতে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রনে আনে সেনাবাহিনী। নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ ও দেয়ালে উঠে পালানোর সময় পড়ে গিয়ে বন্দিরা মারা গেছে বলে ধারনা করছে জেলার আবু ফাতাহ।
তবে আসামিরা পালিয়ে যেতে পারেনি বলে দাবি আহত কারারক্ষীদের। এ ঘটনায় চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন দ্রুত সরে পড়েন। রাতে থেমে থেমে গুলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়। কারাবন্দীদের উদ্দেশ্যে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আহতরা জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেলে কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জামালপুর জেলা কারাগারে রয়েছে ৬৬৯ জন বন্দি। এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত বন্দি রয়েছে ১০০ জন। এছাড়া এই কারাগারে কোনো জঙ্গি নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
Leave a Reply