মোঃ রুহুল আমিন রাজু ষ্টাফ রিপোর্টার জামালপুরঃ জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ ইউনিয়নের দুরমুঠ গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের দীর্ঘ দিনের দখলকৃত জমি জোরপূর্বক অবৈধভাবে জবর দখল করে শ্রেণি পরিবর্তন করে চারদিকে টিনের বেড়া দিয়ে টিনের ঘর নির্মাণ করে, গাছ লাগিয়ে জবরদখল করে রেখেছে বলে অভিযোগে জানা গেছে।
১৬ আগষ্ট রাত অনুমান সাড়ে ১১ টার দিকে দুরমুঠ গ্রামের বাসিন্দা মৃত বদিউজ্জামান লাল খানের ছেলে পলাশ খান,তাপস খান একই এলাকার মানিক মেম্বার, নুরে মিয়া,নবীন মিয়া গংরা সন্ত্রাসী কায়দায় জোরপূর্বক অবৈধভাবে একই এলাকার বাসিন্দা প্রতিপক্ষ মৃত কাজী আব্দুল মান্নান এর ছেলে এস,এম,নাজমুল আলম ইলিয়াসের চাকরির সুবাদে ঢাকায় অবস্থানের সুযোগে তার প্রায় দীর্ঘ ১৫ বছরের ক্রয়কৃত নিজের দখলীয় আমন ধান রোপণকৃত ফসলীয় জমি জোরপূর্বক অবৈধভাবে জবর দখল করেছে এবং সেই দখলকৃত জমিতে মাটি কেটে ভরাট করে শ্রেণি পরিবর্তন করে চারদিকে টিনের বেড়া দিয়ে টিনের ঘর নির্মাণ করছে। গতকাল সরে জমিনে ঘুরে দেখা গেছে পলাশ খান গংরা চারদিকে টিনের বেড়া দিয়ে টিনের ঘর নির্মাণ করে ভিতরে গাছ লাগানো ও টিউবওয়েল ও টয়লেট নির্মাণ করতেছিলেন। এমতাবস্থায় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হলে পলাশ খান জানান, সদ্য দখলকৃত জমি আমি পৈতৃক সূত্রে মালিক তাই দখল করেছি। এখানে আমাদের ২০ শতাংশ মত জমি পৈত্রিক সূত্রে মালিক তাই জমি দখল করেছি। এ বিষয়ে সাংবাদিক পলাশ খান গংদের প্রশ্ন করেন যে দীর্ঘ ১৫ বছর পরে আপনারা জমি দখল করলেন কেন? সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পলাশ খান জানান, ২০২১ সালে প্রতিপক্ষের মামলায় আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি ছিলো আমাদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আর নেই, তাই আমাদের দাবীকৃত জমি আমরা নতুন করে দখল করেছি তাতে কোন প্রকার সমস্যা নেই। উপর দিকে এস,এম,নাজমুল আলম ইলিয়াস গংদের কাছে জানা গেছে, ২০০৯ সালে ১৫ ডিসেম্বর মেলান্দহ থানার, মৌজা -দুরমুঠ, খতিয়ান নং-৫৯৩, জেএল,নং-১১ সাবেক দাগ নং৪৪৯ হাল দাগ নং-৮৩৯ জমির পরিমান ৩৩ শতাংশ নালিশী ভূমি ক্রয় সূত্রে ও আদালতের বণ্টন নামা সূত্রে ক্রয় করে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ ভোগ দখল করে আসছিলেন। এমতাবস্থায় আমার প্রতিপক্ষরা ২০ শতকের মত জায়গা অবৈধভাবে জবর দখল করে রেখেছেন। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি যে কোন মুহূর্তে প্রতিপক্ষ পলাশ খান গংরা আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা করে খুন, গুম করতে পারে। এ বিষয় ভূক্তাভোগী এম,এম,নাজমুল আলম ইলিয়াস মেলান্দহ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং মেলান্দহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে ভূক্তাভোগী পরিবার জমি জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশের গৌরব সাধারণ মানুষের আশা ভরসা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনাসহ সকল প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
Leave a Reply