কাফি পারভেজ , স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সিনিয়র নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবর রহমান বলেন, হাসিনা সরকার এদেশের মানুষকে গোলামে পরিনত করেছিল। শুধু জনগন না এদেশের বিচারকগুলোকেও গোলাম বানিয়ে রেখেছিল। মানুষের সর্বশেষ আশ্রয়ের জায়গা হলো বিচার ব্যবস্থা সেই বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল। শুরু তাই নয় দেশের পুলিশ, প্রশাসন ও যে সমস্ত প্রশাসন দেশ পরিচালনা করছে সে সব ব্যক্তি ও কর্মকর্তাদের চুড়ান্ত গোলামে পরিনত করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ব্যাংক ছিল ইসলামী ব্যাংক। সেই ব্যাংকের টাকাও কিভাবে লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে তা আপনারা এখন দেখতে পাচ্ছেন। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে সেই স্বৈরাচার সরকার। বাংলাদেশ একবার স্বাধীন হয়েছিল সেই স্বাধীনতার ফল পায়নি । দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে ছাত্র জনতার হাত ধরে। আমি আশা করি আমরা সবাই মিলে যদি চেষ্টা করি স্বাধীনতার সুফল এবার আমরা ভোগ করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি শহীদ পরিবারের যারা এখানে এসেছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলেন আমরা আপনাদের সহযোগিতা করার জন্য আসিনি ,আমরা এসেছি আপনাদেরকে একান্ত ভাবে পাশে পাওয়ার জন্য ,দোয়া নেয়ার জন্য। তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের শহীদের মর্যাদা দিয়ে যেন ইতিহাস লেখা হয় এই আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি ডক্টর সামিউল হক ফারুকী বলেন ১৩ জন শহীদ পরিবার আমাদের জামালপুরের গর্ব ।আমরা সবাই তাদের পাশে দাঁড়াবো যার যা সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে সহযোগিতা করব।
তিনি আরো বলেন পৃথিবীর কোন আন্দোলন বৃথা যায়নি ,তারা মনে করেছিল নির্যাতন নিপীড়ন করে এই আন্দোলনকে দমন করা যাবে , এজন্য তারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল, কিন্তু যারা নিষিদ্ধ করে করেছে তারাই জনগণের নিকট নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জামালপুর জেলা শাখার উদ্যোগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের জন্য দোয়া ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামালপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা গীতিকার নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা আমির অধ্যাপক খলিলুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক ড. ছামিউল হক ফারুকী। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জামালপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুল আউয়াল, জামায়াত নেতা এ্যাডভোকেট নাজমুল হক সাঈদী, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মাওলানা নুরুল হক জামালী, এ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ, আসিমুল ইসলাম, অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, জামালপুর জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আহমদ সালমান।
অনুষ্ঠান শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের জন্য দোয়া করা হয়। পরে শহীদ ১৩ পরিবারদের মাঝে দুই লাখ করে অনুদান প্রদান করা হয়। তারা হলেন শহীদ আব্দুল্লাহ লিটন, পিতা আব্দুস সবুর মন্ডল, আবুজর শেখ, পিতা মৃত তারা শেখ, মোঃ আমজাদ হোসেন আনতাজ ,পিতা-মৃত আহি মোল্লা, মোঃ সবুজ, পিতা মোহাম্মদ আলী, মোঃ জসিম উদ্দিন সরকার, জাহাঙ্গীর আলম খোরাক, মোঃ মিজানুর রহমান পিতা ওসমান গনি, মোঃ মোস্তফা ,পিতা স্বপন মন্ডল, কামরুল ইসলাম রাব্বি, পিতা আব্দুর রহিম, মোঃ মোখলেসুর রহমান ,পিতা মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ সুমন, পিতা মোঃ বিল্লাল হোসেন, মোঃ ফারুক , পিতা মৃত হায়দার আলী, সাফওয়ান আক্তার সদ্য , পিতা আখতারুজ্জামান ও মোহাম্মদ জাহিদ , পিতা জিয়াউল হক।
Leave a Reply